তিস্তায় গতবন্যার তুলনায় এবার পানি বৃদ্ধি সাথে ভাঙছে বসতবাড়ি
আঃ মতিন সরকার, গাইবান্ধা
অবিরাম বর্ষন এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তার পানি দ্বিতীয় দফা বৃদ্ধি পাওয়ায় ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। যার কারনে নিদারুন কষ্টে পরিবার পরিজন নিয়ে দিনাতিপাত করছে নদীতীর বর্তী মানুষ ।
পানিবৃদ্ধি ও টানা ভাঙনে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর পুটিমারী, ভাটি কাপাসিয়া বাদামের চর, মাদারিপাড়া, লালচামার হরিপুর ইউনিয়নের মাদারিপাড়া, পাড়া সাধুয়া, বাংলাবাজার, কানি চরিতাবাড়ি গ্রামে হাজার একর ফসলি জমি ও হাজারও বসত বাড়ি নদীগভে বিলিন হয়ে গেছে। পাশাপাশি পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কয়েক ১০ হাজার পরিবারের ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে।
ভাঙনের মুখে পড়েছে কয়েক হাজার একর ফসলি জমি ও বসতবাড়ি। ভাঙন কবলিত পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে। একদিকে করোনা ভাইরাস অন্যদিকে তিস্তার পানিবৃদ্ধি এবং ভাঙন অব্যাহত থাকায় নাকাল তিস্তা পাড়ের মানুষজন। উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার নদী। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে ভাংছে ।
উজান থেকে নেমে আসা ঢলে নদীতে তীব্র ¯্রােত দেখা দিয়েছে। স্্েরাতের কারনে ভাঙনের ফলে তিস্তার বালু চরের সবুজের সমারহ ও বসতবাড়ি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে। তিস্তার চরাঞ্চলে বেগুন, মরিচ, পটল, করলা, শশা, তোষাপাটসহ নানাবিধ ফসলের সমাহার ছিল।
কিন্তু সর্বনাশা তিস্তার ভাঙনে এবং পানি বৃদ্ধির কারনে সেসব ফসল ঘরে তোলা হল না। কথা হয় হরিপুর ইউনিয়নের পাড়া সাধুয়া গ্রামের আব্দুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন তিস্তার ভাঙনে চরাঞ্চলবাসি দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এ সময় তীব্র আকারে নদী ভাঙার কথা নয়। অথচ দীর্ঘদিন থেকে দফায় দফায় নদী ভাঙন চলছে। যার কারনে হরিপুর ইউনিয়নের প্রায় এক হাজার বিঘা ফসলি জমি নদীতে বিলিন হয়ে গেছে।
চরের মানুষ তরিতরকারির আবাদ করে সংসার চালায়। কিন্তু নদী ভাঙন এবং পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কৃষকরা মাথায় হাত দিয়ে বসেছে। কাপাশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন জানান গত বারের তুলনায় এবার অনেক পানি বৃদ্ধি পেয়েছে । তার সাথে পাল্লা দিয়ে নদী ভাঙ্গন অব্যহত রয়েছে।
গতকাল বুধবার জেলা কৃষি বিভাগের উপ –পরিচালক, মাসুদুর রহমান, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবীদ সৈয়দ রেজা-বিন মাসুদ সহ উপ সহকারী কৃষি অফিসার দেরকে নিয়ে কাপাসিয়া, শ্রীপুর, হরিপুর, তারাপুর, চন্ডিপুর ও কঞ্চিবাড়ী বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্মন করেন। আঃ মতিন সরকার